পুঁজিবাজারে আধুনিকতার সূচনা: ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত সিদ্ধান্তে এআই প্রশিক্ষণে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজার খাতে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence - AI) বিষয়ক একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ইনোভেশন হাবে গত ৩ ও ৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালাটি আয়োজিত হয়। ‘এআই অ্যাসেন্সিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট প্রফেশনালস’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এই উচ্চতর প্রশিক্ষণে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসি-এর ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের আয়োজক ও লক্ষ্য কর্মশালাটির যৌথ আয়োজনে ছিল ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন (আইরিক) এবং এআই ফোরাম বাংলাদেশ। প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্যাপিটাল মার্কেট সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের আর্থিক কার্যক্রমের বিশ্লেষণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ট্রেড পরিচালনা এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ-এর মতো অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রসমূহে এআই-এর ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা। কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ এই যুগান্তকারী প্রশিক্ষণে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার সাফফাত রেজা, প্রযুক্তি কর্মকর্তা এস এ আর মো. মুইনুল ইসলাম, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আমির হোসেন। এছাড়াও, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট, বিসনেস হেডস, প্রাতিষ্ঠানিক ও বৈদেশিক বাণিজ্য, ডিজিটাল রূপান্তর, হিসাব ও অর্থ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অপারেশনস, ট্রেড এক্সিকিউশন, শাখা পরিচালনা এবং পুঁজিবাজার গবেষণা বিভাগের কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ পরিচালনা কর্মশালাটি পরিচালনা করেন দেশের সুপরিচিত এআই বিশেষজ্ঞ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এমএসসিএসই প্রোগ্রাম ও আইরিকের পরিচালক এবং এআই ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. খন্দকার এ. মামুন। তাঁর নির্দেশনায় অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব সমস্যা সমাধানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ নিয়ে কাজ করেন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পান, যা তাঁদের ব্যবহারিক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন যে এই ধরনের উদ্যোগ দেশের পুঁজিবাজার তথা আর্থিক খাতে একটি উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং শিক্ষা ও শিল্পের মধ্যে দৃঢ় সংযোগ স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এই প্রশিক্ষণ লংকাবাংলা সিকিউরিটিজকে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করল।