Notices
Notices
নতুন মাইলফলকে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ

নতুন মাইলফলকে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ। আজ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চালু হয়েছে নতুন অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)। সকাল ১০টায় লেনদেনের উদ্বোধন করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ‘স্টক ব্রোকার’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করেছে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ। এর ট্রেডিং কোড ‘এলবিএসএল’ আর কোম্পানি কোড হবে ‘৫৯০০১’। গত বছরের ২৪ নভেম্বর কোম্পানিটি এটিবিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে এটি । লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ: তালিকাভুক্ত ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড। এ সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটির ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির কাছে। এরই মধ্যে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ বা ২ কোটি ৬৯ লাখ ৩ হাজার ৩৩টি শেয়ার এটিবিতে ছাড়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে মূল প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের মোট শেয়ার রয়েছে ২৪ কোটি ৮৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৬। ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৫৩৮ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪১৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৩। এর মধ্যে ৩৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৬৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ১৩০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরে সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৯৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। এটিবি কী:‘ ব্যবসায় মূলধন প্রাপ্তি ও শেয়ারের মালিকানা পরিবর্তন সহজ করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চালু করছে বিকল্প লেনদেন ব্যবস্থা বা অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)। ব্যবস্থাটি চালু হলে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা যেকোনো কোম্পানি এটিবিতে সরাসরি তালিকাভুক্ত হয়ে শেয়ার লেনদেন করতে পারবে। এর মাধ্যমে অতালিকাভুক্ত ও তালিকাচ্যুত সিকিউরিটিজসহ করপোরেট বন্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড এটিবিতে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। মূলত এখানে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে। এ প্লাটফর্মে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারবেন। এটিবিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর কোনো ন্যূনতম মূলধনি সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি। যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত যেকোনো অতালিকাভুক্ত কোম্পানি এ প্লাটফর্মে শেয়ার লেনদেনের সুযোগ পাবে। তবে এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর সুযোগ থাকবে না। এখানে লেনদেনের ক্ষেত্রে টি+২ নিষ্পত্তি হবে। বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনার ক্ষেত্রে ঋণ সুবিধাও পাওয়া যাবে। এ প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলোকে বছরে একবার মূল্যসংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করতে হবে। কী বলছে ডিএসই: ২০২২ সালের মে মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই জানিয়েছিল এটিবিতে দেশের ৭৬টি বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড, ১৮টি ইকুইটি সিকিউরিটিজ ও ১৫টি ডেট সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্তির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।